December 3, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 3rd, 2025, 5:13 pm

ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় মামলা, অভিযুক্ত নারী গ্রেপ্তার

 

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে আট কুকুরছানাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শহরের পিয়ারপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত নারী নিশি রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত নিশি রহমান ঈশ্বরদী ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী।

এর আগে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তিনি জানান, প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ এর ৭ ধারায় মামলা হয়েছে এবং এতে নিশি রহমানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. স. ম. আব্দুন নূর বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এবং ঢাকা থেকে আসা ‘পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার’ -এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মামলা রেকর্ড করা হয়।” এসময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় অর্ধশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী আকলিমা খাতুন বলেন, “ঘটনাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। প্রাণী হত্যার মতো অমানবিক ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।” প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও মামলা করার নির্দেশ দেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়নকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার লিখিত নির্দেশ দেন। বর্তমানে তারা বাসা ছেড়েছেন বলে জানান তিনি। মামলার পর অভিযুক্ত নারী গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন।

জানা যায়, নিহত ছানাগুলো সদ্য বদলি হওয়া সুবির কুমার দাশের পোষা কুকুরের সন্তান। তিনি এখন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত। সুবির কুমার দাশ বলেন, “ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

তবে গ্রেপ্তার নিশি রহমান দাবি করেন, “ছানাগুলো বাসার সিঁড়ির পাশে থেকে বিরক্ত করত। তাই বাজারের ব্যাগে ভরে পুকুরপাড়ে রেখে আসি। আমি নিজে পুকুরে ফেলিনি।”

গত সোমবার সকালে কুকুরছানার মৃতদেহের ছবি ভাইরাল হলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়—দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়ির কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, “সকালে নয়ন স্যার কিছু জানেন না বললেও তার ছেলে বলে আম্মু বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এরপর পুকুরে বস্তা ভাসতে দেখে টেনে তুলি—তাতে ৮টি ছানাই মৃত।”

এনএনবাংলা/