পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া ১৮টি ট্রলারের দেড় শতাধিক জেলেকে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আড়াই শতাধিক জেলে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলারসহ স্থানীয়রা এসব জেলেকে নিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পৌঁছায়।
এ সময় জেলেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে চরফ্যাশনের জনতা বাজার এলাকার জেলে রফিক (৩২) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা এবং মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, আলীপুরের ডুবে যাওয়া ট্রলারের সকল জেলেকে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আর ১১ জেলেকে ভারতের রায়দীঘির জেলেরা উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা বর্তমানে ভারতের সাউথ সুন্দরবন ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের হেফাজতে রয়েছে। আর বাকি জেলেদের আমাদের মালিক সমিতির ট্রলার ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ১২৬ জেলেসহ সাতটি ট্রলার। এছাড়া ডুবে যাওয়া ও নিখোঁজ ট্রলারের সকল মালিকদের বাড়ি আলীপুরে।
মহিপুর আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা জানান, মহিপুরের আড়তগুলোতে মাছ দেয়া ৯ টি ট্রলার ডুবে গেছে। আর এখনও অন্তত ১৩০ জেলেসহ ৯ টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া গভীর সাগর থেকে তীরে ফেরার পথে একটি ট্রলার থেকে রফিক নামের এক জেলে বঙ্গোপসাগরে পড়ে যায়। তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ও নিখোঁজ ট্রলারের মালিকদের বাড়ি মহিপুর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আমাদের উদ্ধারকারী নৌ-যানের সংকট রয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সখীপুরে একইদিনে তিন গৃহবধূর আত্মহত্যা
যৌথ অভিযানে বিপুল মাদকসহ ১০ নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার
গঙ্গাচড়ায় ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের দু-নেতা আটক