বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, একজন শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকদের অবদান কোনো কিছু দিয়েই পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তারা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেন। শিক্ষকরে যারা সম্মান না দেয় তারা কখনো বড় হতে পারে না। আজকের এই সংবর্ধনা শুধু শিক্ষকদের জন্য নয়, বরং শিক্ষক সমাজের জন্য। আজকের এই আয়োজন আমাকে আনন্দিত করেছে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার চর্চা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের সম্মান সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে অবহিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও শিক্ষকদের সম্মানের ব্যাপারে চর্চা করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষকদের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করবো। শুক্রবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জয়নুল আবেদীন কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন বিএনপি বর্তমানে একটি ক্রান্তিলগ্নে রয়েছে। অতিশীঘ্রই এই পরিস্থিতি কেটে যাবে। নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি দল ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের বলবো। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আসছে নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে। শিক্ষকদের সম্মানে এত সুন্দর অনুষ্ঠান আয়জন করায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন”। প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বাবুগঞ্জ যুবদলের আহবায়ক রকিবুল হাসান খান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এইচ এম তসলিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা খান, সুপ্রিম কোর্টের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট ইউনুস আলী,সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এসময় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মামনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এইচএম লিমন। প্রধান অতিথি এ্যাড. জয়নুল আবেদীন বিদ্যালয়ের নতুন তোরন, একটি ফুলের বাগান ও একটি লাইব্রেরী উদ্বোধন করেন। সংবর্ধিত শিক্ষকরা বলেন, বিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত। শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সংবর্ধনা আমাদের জন্য আবেগের, তবে এই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকবে।
আরও পড়ুন
ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভোটার সমাবেশ ও গণসংযোগ
বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ২০ রোহিঙ্গাসহ আটক-২১
মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের গেইটে হাঁস মুরগি হাট: শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে