২০২৪ সালের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে এই হিসাব জমা দেয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, তারা নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করতে পারে। সেগুলো সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ প্রত্যাশা করে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অর্ন্তভূক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করবে বর্তমান কমিশন। বিগত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে। তাই বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে বলেও প্রত্যাশা বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার।
অতীতে মেরুদণ্ডহীন লোকদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ কারচুপির ভোট করেছিল এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার আওয়ামী লীগ (নিবন্ধ স্থগিত) ছাড়া ৫০টি নিবন্ধিত দলকে অডিট রিপোর্ট দিতে চিঠি দেয় ইসি। দলগুলোকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব চলতি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হবে।
স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলোর ইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
জাকসুর দুই হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ
জাকসু নির্বাচন : রবীন্দ্রনাথ হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত : শেহবাজ শরিফ