July 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 18th, 2024, 9:12 pm

এজতেমা মাঠে মুসল্লীদের উপর হামলায় বাংলাদেশ কল্যান পার্টির নিন্দা

নিউজ ডেস্ক:  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪: টঙ্গী নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ নিরসনে আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হোক এজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুসল্লীদের উপর গভীর রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় তাবলীগ জামায়াতের ৩জন সদস্য নিহত ও বহু আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কল্যান পার্টি ।

আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন পারভেজ ও মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, শুরু থেকেই ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে তাবলীগ জামায়াত বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত ও তালীমের কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য অমুসলিমের ইসলাম গ্রহণ এবং সাধারণ মুসলমানের ইসলামের প্রতি অনুরাগী হওয়ার ক্ষেত্রে এই তাবলীগ জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই দাওয়াতি সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল গভীর রাতে ( ৩.৩০) টঙ্গীর এজতেমা মাঠে হামলায় ৩জনের মৃত্যু ঘটে এবং আহত হয়েছেন আরো শতাধিক। ভারতের দিল্লী মার্কাজের আমির মাওলানা সাদের বাংলাদেশী প্রায় ৪০ হাজার অনুসারী গতকাল রাতে টঙ্গীর এজতেমা মার্কাজ দখল করতে গিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে থেকে জানা যায়। এতে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মার্কাজের সংগী সাথীরা হতাহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ কল্যান পার্টির প্রচার সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ  স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে বলা্ হয়,  আমরা এই ধরণের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মাঠে উপস্থিত মুসল্লীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনিক ব্যার্থতার নিন্দা জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলা ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনার সাথে পতিত স্বৈরাচারের কোন ইন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি এবং ঘটনার ইন্ধনদাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এই ধরণের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব-সংঘাত মুসলমানদের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। এতে দেশ ও ইসলাম বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া আপাতত কোন লাভ নেই। সাধারণ মুসলমানের কাছে সামাজিক ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাওয়াতে তাবলীগের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ নিরসনে আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হোক। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ও সাহায্য কামনা করছি।