বিএনপি–জামায়াতে ইসলামীর বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক ও নির্বাচনী জোট গঠনের যে আলোচনা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছিল, তা এবার আনুষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে। তবে ঘোষিত এই জোটে গণঅধিকার পরিষদকে রাখা হয়নি। নতুন জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি আত্মপ্রকাশ করবে। সংশ্লিষ্ট দলগুলোর ভাষ্য, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গঠনে আগ্রহীদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্যই’ এই জোটের মূল উদ্দেশ্য।
দুপুরে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন জানান, ডিআরইউতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। এবি পার্টির একাধিক সূত্রও জোট ঘোষণার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগের মাসের শেষ দিকে প্রথমবার এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে একটি জোট গঠনের আলোচনা সামনে আসে। ২৭ নভেম্বর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে জোট ঘোষণা করার কথা থাকলেও আগের রাতে বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দীর্ঘ আলোচনায়ও চূড়ান্ত মতৈক্য হয়নি।
জোটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ যুক্ত করার বিষয়ে এনসিপি তীব্র আপত্তি জানায়। একই সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের ভেতরেও জোটভুক্ত হওয়া নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি হয়। ফলে সিদ্ধান্তহীনভাবেই বৈঠক শেষ হয় এবং জোটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
আজ যে জোটের ঘোষণা আসছে, তাতে আপ বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ নেই—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, বৈঠকে তারা জোটের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সক্ষমতা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন, যার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাননি।
তার ভাষায়, “আমরা প্রয়োজনীয় উত্তর না পেয়ে অন্ধকারে ঝাঁপ দিতে চাইনি। মূলত লক্ষ্য ও সক্ষমতা সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না মেলায় আমরা এই জোটে থাকছি না।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরবে বিএনপি: তারেক রহমান
আমাদেরকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে, ইসিকে প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বিভিন্ন মসজিদে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল