অনলাইন ডেস্ক :
দুজনের স্বপ্নময় পথচলা চলছেই। দুজনেই উঠেছেন ইউএস ওপেনে মেয়েদের এককের ফাইনালে। লায়লা ফার্নান্দেজ ও এমা রাডুকানুর চোখে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নের আঁকিবুকি। গত সোমবার ১৯ বছর পূর্ণ করেছেন ফার্নান্দেজ। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে কানাডার এই অবাছাই খেলোয়াড় স্নায়ুক্ষয়ী দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-৪ গেমে জিতেছেন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় বাছাই বেলারুশের আরিনা সাবালেনকার বিপক্ষে। এবারের আসরে ফার্নান্দেজের বড় তারকা শিকারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ৭৩তম স্থানে থাকা এই তরুণী ফাইনালের পথে এর আগে বিদায় করেন প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকা ও পঞ্চম বাছাই এলিনা সলিতোলিনাকে। আরেক টিনএজার রাডুকানুও অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে চলেছেন। দারুণ পথচলায় এই বৃটিশ অপর সেমি-ফাইনালে জেতেন ১৭তম বাছাই গ্রিসের মারিয়া সাকারির বিপক্ষে। ১৯৮৩ সালে জোয়ানা ম্যারি ডুরির পর প্রথম ব্রিটিশ নারী হিসেবে ইউএস ওপেনের সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন রাডুকানু। আর ৪৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী ব্রিটিশ নারী। স্বপ্নময় পথচলায় এই ১৮ বছর বয়সী প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেনে খেলতে এসেই উঠে গেছেন ফাইনালে। ফলে ১৯৯৯ সালের পর ইউএস ওপেনের মেয়েদের এককে দুই টিনএজারের ফাইনাল উপভোগের সুযোগ পাচ্ছে টেনিসপ্রেমীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামস ও সুইজারল্যান্ডের মার্টিনা হিঙ্গিস ২২ বছর আগের ওই ফাইনালে লড়েছিলেন। আর টেনিসের উন্মুক্ত যুগে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে দুই টিনএজার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। চাপের ম্যাচে জিতে দুই হাত দিয়ে হৃদয়ের চিহ্ন এঁকে আবেগের উচ্ছ্বাসে শুয়ে পড়েন ফার্নান্দেজ। এই ফাইনালে ওঠা অনেক পরিশ্রমের ফল বলেও জানিয়েছেন তিনি। “বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম এবং ঘামের বিনিময়ে আমার এই মানসিক দৃঢ়তা এসেছে। কোর্টের ভেতরে-বাইরের ত্যাগের বিনিময়ে এসেছে। খুব করে ফাইনালে উঠতে চেয়েছিলাম এবং প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়েছি।”
আরও পড়ুন
নারী লীগের জন্য পুল ভাবনা, ক্লাবগুলোর দাবি মাসে দশ লাখ টাকা
পিঙ্ক টেস্টের নেপথ্য ঘটনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে অজি কিংবদন্তীর স্ত্রী
শেষের বাঁশি কি শুনতে পাচ্ছেন রোহিত–কোহলি