কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমর নদের ওপর দিয়ে ভেসে এসেছে একটি মৃত গন্ডার।ওই নদের চরে এটি আটকা পড়ায় তা স্থানীয়দের চোখে দৃশ্যমান হয়। এক মেট্রিক টন ওজনের গন্ডারটি দেখা যাওয়ায় তা দেখতে নদ এলাকায় জনতার ভিড় লক্ষ করা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে জেলার নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে পাহাড় ধস ও বনাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় দুধকুমর নদ দিয়ে কাঠের গুড়ি, মৃত গরু, সাপ ও মাছ ভেসে আসতে থাকে। ইতোমধ্যেই নদনদের পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে সবশেষ বুধবার সন্ধ্যায় ভেসে এলে দেখা গেল এ গন্ডারটি। মৃত গন্ডারটি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামের দুধকুমর নদের ওই চরে এসে আটকা পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, গন্ডারের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এ গন্ডারটি মারা যেতে পারে। পরে তা ভেসে এখানে এসে আটকা পড়ে।এটি স্থানীয়দের চোখে পড়লে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন তারা। পরে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম দ্রুত খবর দেন কুড়িগ্রামের বন বিভাগকে।এরপর কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা (সামাজিক বনায়ন) সাদিকুর রহমান খবর পেয়ে সেখানে আসেন। এসময় যমুনা সেতু আঞ্চলিক যাদু ঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা, উপজেলা বন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীসহ অন্যান্যরাও ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ওই গন্ডারটিকে।
কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম জানান, গন্ডারটি বড় ও ভারী হওয়ায় অন্যত্র সরানো বেশ কষ্টকর। আর তাই এটি এখানেই মাটি পুতে রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়। পরবর্তীতে জাদুঘরের লোকজন এসে গন্ডারের হাড় গোড় সংগ্রহ করবেন।
যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা জানান, খবর পেয়ে এসে আমরা গন্ডারটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। পরবর্তীতে দুই মাস সময়ের ব্যবধানে এর মধ্যে দেহে পচন ধরলে এর হাড়গোড় সংগ্রহ করে যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত
সাপাহারে আবারো এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
রংপুর জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আগামী ১২ই অক্টোবর রোববার থেকে সাড়ে ৮ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড টীকা দেয়া হবে