মূল বেতনের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নবম দিনের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে।
তিন দফা দাবিতে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তাদের অভিযোগ, সরকারের ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা — মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা — বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তারা পুনরায় দাবি জানান,
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা,
চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা,
এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর ঘোষণাটি প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
অন্যদিকে, গতকাল (রবিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবি বাধা দেয়। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
‘প্রবাসীদের পাসপোর্ট ফি কমানোর চিন্তা করছে সরকার’
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কার্যক্রম স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা
নির্বাচনে সেনাবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ হিসেবে দায়িত্বে থাকবে: ইসি সচিব