বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামলের চরিত্রগত কোনো পার্থক্য ছিল না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দুই শাসকই একে–অপরের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন এবং একইভাবে গণতন্ত্রকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলেন। তার মতে, উভয় আমলেই দুর্নীতি ছিল প্রাতিষ্ঠানিক।
রিজভী আরও বলেন, ইকোনোমিক্সের নামে গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে চালু হয়েছিল তথাকথিত “হাসিনোমিক্স”, যেখানে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করলেও সমস্যা হতো না। বরং ঋণ পরিশোধ না করেও নতুন ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় দেশ বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বোঝা বহন করছে।
তিনি বলেন, নতুন সরকারকে অর্থনীতিকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবু একদিকে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে—কর্মসংস্থান বাড়ছে না, বেকারত্বও বাড়ছে। এসব বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া জরুরি।
সম্প্রতি ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখ করে রিজভী প্রশ্ন তোলেন—দুটি ভল্ট থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ বের হয়ে গেল কীভাবে? ভল্টে আরও স্বর্ণ থাকার গুঞ্জনও চলছে। তিনি বলেন, এই স্বর্ণ শেখ হাসিনা বা তার দলের ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে জড়িত কি না, তা শিগগিরই প্রকাশ পেতে পারে।
সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
দুটি ট্রলারসহ টেকনাফের ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলে যাবে প্রসিকিউশন
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন