পাকিস্তানের লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে।
আগের রেকর্ড ৩০৬ রান ছাড়িয়ে এটি এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে পরাজয় মেনে নিয়ে এশিয়া কাপে তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই ম্যাচে খেলেছে বাংলাদেশ।
শান্ত-মিরাজ পঞ্চম জুটি হিসেবে এক ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরি অর্জন করেছেন।
এর আগে, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
তারপরে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস এবং ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন দাস ও তামিম এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
মেহেদি ও নাজমুল দুজনের জন্যই এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
মেহেদি ১১৫ বলে তার শতরান ছুঁয়েছেন এবং ১১২ রান করার পর ইনজুরির কারণে বিশ্রামে গেছেন।
অন্যদিকে, নাজমুল ১১২ রানে রানআউট হওয়ার আগে ১০১ বলে শতরান অর্জন করেছিলেন।
প্রথম ম্যাচে অভিষেকে রান করতে ব্যর্থ হওয়া তানজিদ হাসান তামিমের জায়গায় মেহেদি ইনিংস শুরু করেন।
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে লড়াই করলেও মেহেদি স্বস্তি জাগিয়েছে।
মেহেদি তার ইনিংসের শুরু থেকেই সংযম বজায় রেখেছিলেন। তার দ্বিতীয় ওডিআই সেঞ্চুরিতে তিনি দুটি ছক্কা এবং ছয়টি চার হাকান।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ দল দুটি উইকেট হারায়। এরপর মিরাজ শান্তর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন।
রানআউটে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অতীতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাফল্য উপভোগকারী রশিদ খান আজ ৬৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
অন্য আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানও প্রতি ওভারে ছয়ের বেশি রান দিয়ে একটি উইকেট নিতে সক্ষম হন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আ.লীগের প্রেতাত্মারা এখনো বহাল’
শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চার, ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল