অনলাইন ডেস্ক :
ওমরায় ৩০টি সামগ্রী সাথে না নেয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রোববার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সৌদিভিত্তিক গণমাধ্যম দি ইসলামিক ইনফরমেশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমরার সময় যাত্রীরা ৩০টি পণ্য বহন করতে পারবে না। এসব পণ্য যদি কারো লাগেজে পাওয়া যায়, আর ফেরত দেয়া হবে না। কর্তৃপক্ষের কাছে তা ফেরতও চাইতে পারবে না। তাই নিষিদ্ধ এসব পণ্য পরিবহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পণ্য ৩০টি হলো ছুরি, কমপ্রেসড গ্যাস, বিষাক্ত তরল, ব্লেড, বেসবল ব্যাটস, বৈদ্যুতিক স্কেটবোর্ড, বিস্ফোরক, পটকা, আগ্নেয়াস্ত্র, চৌম্বকীয় পদার্থ, তেজস্ক্রিয় বা ক্ষয়কারী উপাদান, যেকোনো বিপজ্জনক সরঞ্জাম, পেরেক ক্লিপার, কাঁচি, মিট ক্লিভার, গোলাবারুদ, জৈব পারক্সাইড, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক ডিভাইস, তরল অক্সিজেন ডিভাইস, সংক্রামক জৈবিক উপাদান, মেলে, লাইটার, বিস্ফোরক বা ক্র্যাকার, দাহ্য তরল পদার্থ, নকল অস্ত্র।
তালিকাভুক্ত ছুরি, কমপ্রেসড গ্যাস, ক্ষতিকারক তরল, ধারালো বস্তু, বেসবল ব্যাট, বৈদ্যুতিক স্কেটবোর্ড, বিস্ফোরক ও আতশবাজি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিমানের কেবিনে ১৬টি জিনিস বহন করা বিশেষভাবে নিষিদ্ধ। পূর্বের জিনিসগুলো ছাড়াও নিষিদ্ধ আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, চৌম্বকীয় আইটেম, তেজস্ক্রিয় পদার্থ ও বিপজ্জনক সরঞ্জাম যেমন নেইল ক্লিপার, কাঁচি ও বড় ছুরি। এছাড়াও বিমানবন্দরে লাগেজে ১৪টি সামগ্রী নিষিদ্ধ। রাসায়নিক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক ডিভাইস, অন্যান্যের নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন ডিভাইস, বৈদ্যুতিক স্কেটবোর্ড, তরল অক্সিজেন পাত্র, সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে এমন উপকরণ, ম্যাচ, লাইটার ও দাহ্য তরলসহ অনেক পদার্থ রয়েছে, যা অগ্নিকান্ডের কারণ হতে পারে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। কমপ্রেসড গ্যাস, বিস্ফোরক, আতশবাজি, জাল অস্ত্র, চৌম্বকীয় আইটেম ও ক্ষয়কারী সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত ৩০টি নিষিদ্ধ আইটেমের মধ্যে কোনোটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সূত্র : দি ইসলামিক ইনফরমেশন
আরও পড়ুন
গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সেনা নিহত বেড়ে ৮০০
নামছে সেনা, ফিরছে ২২৫ বছর পুরনো ‘ভিনগ্রহী আইন’
আমেরিকার অস্ত্রে হামলা, চটে লাল পুতিন