চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চরম ব্যর্থতার পর মুশফিকুর রহিমের দলের জায়গা নিয়ে উঠেছিলো প্রশ্ন। পরবর্তী আইসিসি আসরে তিনি ও মাহমুদউল্লাহর থাকা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও। এসব আলোচনার মধ্যে ফেসবুক পোস্টে ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেন মুশফিক।
বুধবার রাতে এক পোস্টে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত দেন এই তারকা। ইংরেজিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজ থেকে আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে আমার অবসর ঘোষণা করছি। আলহামদুলিল্লাহ্, সবকিছুর জন্য। বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন হয়তো সীমিত ছিল, কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে একশো ভাগের বেশি দিয়েছি।’
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকের। এরপর ১৯ বছরে এই সংস্করণে লাল সবুজ জার্সিতে তিনি ২৭৪ ম্যাচের পর তিনি থামালেন তার পথচলা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৩৬.৪২ গড় ও ৭৯.৭০ স্ট্রাইকরেটে ৭৭৯৫ রান করেছেন ৩৭ পেরুনো ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটি।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনেক ভরসা করা হয়েছিলো তার উপর। অভিজ্ঞ ব্যাটার ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন। রাওয়ালপিন্ডিতে পরের ম্যাচে ৫ বলে ২ রান করে ফেরেন বাজে শটে ক্যাচ দিয়ে।
আরও একটি বৈশ্বিক আসরে ব্যর্থ হওয়ার পর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার পড়ে যায় প্রশ্নের মুখে। নতুন বছরে বিসিবি তাকে ওয়ানডের চুক্তিতে রাখবে কিনা তা নিয়েও তৈরি হয় সংশয়। শেষ পর্যন্ত নিজেই সরে গেলেন মুশফিক।
যদিও মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ তিনিও গ্রহণ করলেন না। এর আগে টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসরের ঘোষণা ফেসবুকেই দিয়েছিলেন তিনি।
সীমিত সংস্করণের ক্রিকেট ছাড়লেও এখনো টেস্ট থেকে অবসর নেননি তিনি। হয়ত সামনের আরও কিছু বছর তাকে সাদা পোশাকে খেলতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন
এনআইডির তথ্য বিক্রি: সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম গ্রেপ্তার
আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া
চিনিযুক্ত সরবত খেলে শরীরে যা ঘটে