জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
সিলেটের ওসমানীনগরের কিশোর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে প্রধান আসামি করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৮ আগস্ট শুক্রবার রাতে নিহত কিশোর রবিউলের মা পারুল বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বুলবুল ফকির বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের মৃত বাবুল ফকিরের ছেলে ও ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টেুরেন্টের মালিক।
বুলবুলের মালিকানাধিন রেস্টেুরেন্টে কাজ করত নিহত রবিউল। রবিউল ২৪ জুলাইল বগুড়া রেস্টেুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হবার পর গত ৩ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলারন বরমচাল রেলরাইনের পাশের একটি ডুবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩ আগষ্ট লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযুক্ত রেস্টরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোলাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়া ও পারুল বেগমের ছোঠ ছেলে রবিউল ইসলাম নাইম গত ১২ জুলাই একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ইমর মিয়ার মাধ্যমে মাসিক সাড়ে ৭ হাজার টাকায় কর্মচারী হিসেবে সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বুলবুল ফকিরের মালিকানাধিন বগুড়া রেস্টুরেন্টে কাজ নেয়।
গত ২৩ জুলাই কাজ শেষে রেস্টুরেন্ট থেকে বাড়ি ফিরে রবিউল। রবিউলের মা পারুল বেগম রবিউলের গায়েরজামা খোলার সময় তার শরীরের একাধিক স্থানে কামড়ের চিহ্ন রক্তের দাগ ও বিভিন্ন আঁচড়ের দাগ দেখতে পেয়ে রেস্টুরেন্টে আর কাজ না করতে বারন করেন রবিউলকে। এছাড়াও রেস্টেুরেন্টে গিয়ে মালিকের নিকট থেকে পাওয়ানা টাকা পয়সা ও কাগরচোপর নিয়ে আসতে বলেন বলেন রবিউলকে তার মা। পর দিন রেস্টুরেন্টে যাবার পর থেকেই নিখোঁজ হয় রবিউল। রবিউলকে খোঁজতে রেস্টেুরেন্টে তার মা, মামা সহ স্বজনরা গিয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলে নকিট রবিউলের সন্ধান জানতে চাইলে বুলবুলের মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার মিথ্যে অভিযোগ তুলে বুলবুল। আত্মীয়স্বজন সকল স্থানে খোঁজাখোজির করে রবিউলের সন্ধান না পেয়ে বিগত ৩১ জুলাই ওসমানীনগর থানাড রবিউল নিখোঁজের ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়।
নিহতের মামা মো. রাহেল মিয়া বলেন, আমার ভাগনা রবিউলকে রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল প্রথমে বলৎকার (ধর্ষণ) করে। বিষয়টি জানাজানি হবার ভয়ে বুলবুল ও তার সহযোগীরা আমার ভাগ্নেকে পরিকল্পতি ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে। আমরা অত্যন্ত গরীব পরিবারের সদস্য আমাদের টাকারজোর নেই, আমার একমাত্র ভরসা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমাদের দাবী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত বুলবুল ফকিরকে আমরা আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। কুলাউড়া থানা পুলিশ আমাদের সহযোগীতা চাইলে আমরা সর্বাত্বক সহযোগী করব।
কুলাউড়া থানার ওসি হত্যা মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলহাজতে থাকা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল ফকিরকে আমরা এই মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখাবো। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেললইনের পাশের ডুবা থেকে অজ্ঞাতনামা কিশোরের রাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। পর নিখোঁজ রবিউলের পরিবার সেখানে গিয়ে লাশটি নিখোঁজ রবিউলের বলে সনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত হবে আধুনিক শিশু পার্ক
কমলগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন; রহস্য উদঘাটন।
নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে সরকারি বিএল কলেজের সামনে পথসভা