অনলাইন ডেস্ক :
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বাথরুমে পড়ে আহত হওয়ার পর প্রায় এক মাস ধরে বিছানায় রয়েছেন বলে পরিবার জানিয়েছে। তিনি কাউকে ‘চিনতে পারছেন না’। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান মৌলী বলেন, মাস খানেক আগে বাবা বাথরুমে পড়ে কোমরে ব্যথা পান। এরপর থেকে তিনি বিছানাগত। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি কাউকে চিনতে পারছেন না। অনেকটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। করোনাভাইরাসের কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শমত চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই। আটজন চিকিৎসক চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। তারা বাসায় এসে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন কোমরের ব্যথা ভাল হয়ে যাবে। ইমতিয়াজ হাসান বলেন, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও আগে থেকেই তার হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে। বর্তমানে তিনি বেশি ভুগছেন হাইপোন্যাট্রিমিয়ায়। এটা হচ্ছে শরীরে লবণের ঘাটতি। তিনি একেবারে নিস্তেজ হয়ে গেছেন। চিন্তাশক্তিও কমে গেছে। খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না। লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। লবণের ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাসাতেই তার ইসিজি করানো হয়েছে। এক্স-রে করে হালকা ফ্র্যাকচার পাওয়া গেছে। হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৪ সালে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চৌদ্দপায় আবাসিক এলাকা বিহাসে নিজের বাসায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন
ভিক্ষাবৃত্তি আর ক্ষমতার চোরাগলির নিষ্ঠুর বাস্তবতা নিয়ে লেখা হয়েছে—‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’
মিজানুর রহমান সোহেলের ‘বিক্রয় ম্যাজিক’ বইয়ের প্রি-অর্ডার শুরু
মনি কিশোরের মৃত্যু: গতকাল যা ঘটেছিল রামপুরার পপি ভবনে