কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করার পর শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার। তিনি লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার পদও ছেড়ে দিয়েছেন।
অ্যাঞ্জেলা রেইনারকে কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। রেইনারের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আনা হয়, তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন।
কিন্তু নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন রেইনার। দেশটির একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, তিনি একজন মন্ত্রীর নৈতিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য এক নতুন ধাক্কা। ৪৫ বছর বয়সী রেইনার স্টারমারের দল থেকে পদত্যাগ করা অষ্টম এবং সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
অ্যাঞ্জেলা রেইনার স্টারমারকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে বলেছেন, ‘নতুন বাড়ি কেনার পর কর-সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিইনি। এ জন্য আমি অনুতপ্ত… আমি এই ভুলের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি।’
পদত্যাগপত্রের উত্তরে স্টারমার বলেন, সরকার থেকে রেইনারের এমন বিদায়ে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত, তবে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক জরিপে লেবার পার্টি ব্রিটেনের জনপ্রিয় রিফর্ম ইউকে’র চেয়ে পিছিয়ে থাকায় স্টারমার তার কর্তৃত্ব এবং দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সময় ডেপুটি হারানো তার জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর, বিশেষ করে রেনার।
প্রসঙ্গত, স্টারমারের সরকার যে ৮ জন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যকে হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ জনই অন্যায় কাজের জন্য পদত্যাগ করেছেন। ১৯৭৯ সালের পর থেকে ব্রিটেনে স্টারমারের সরকারেই সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আবারও হামলা, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
স্বস্তি নেই বাজারে, সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা
ভারত ভাঙার ডাক, অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল নয়াদিল্লি