April 29, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 29th, 2025, 2:27 am

কলড্রপ ও ধীর গতির ইন্টারনেটে ভোগান্তিতে বাংলালিংক গ্রাহক

 

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রাফসান ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোবাইল স্ক্রিনে ৪জি লেখা থাকলেও ইউটিউবেও ৪৮০পি ভিডিও ঠিকমতো দেখা যায় না। এত খরচ করে কীসের সেবা নিচ্ছি বুঝি না!”

গুলশানের ফারহানা জামান বলেন, “কল করতে গেলেই নেটওয়ার্ক চলে যায়। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে বারবার কলড্রপ হলে আর লজ্জার কথা কী বলবো!”

চট্টগ্রামের হালিশহরের গ্রাহক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “ডেটা প্যাক কেনার পর মনে হয় টাকা পানিতে ফেললাম। ফেসবুক খুলতেই মিনিটের পর মিনিট লাগে। এমন ৪জি দেখে কান্না পায়।”

নরসিংদীর বাসিন্দা শিপন মিয়া ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “দিনের বেলা কোনো রকমে নেট চলে, আর সন্ধ্যা নামলেই সিগনাল একেবারে হারিয়ে যায়। বাংলালিংক নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ, হাসবো না কাঁদবো বুঝি না।”

ময়মনসিংহের সানজিদা রহমান বলেন, “বাংলালিংকের অফার দেখে ডেটা নিই, কিন্তু স্পিড দেখি ২০০ কেবিপিএস! এই স্পিড দিয়ে ৪জি চালানো সম্ভব?”

কক্সবাজারের মাহমুদুল হাসান বলেন, “সমুদ্রপাড়ে পর্যটক এলাকা হলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক যেন অজপাড়াগাঁর মতো। ফেসবুকে এক পোস্ট করতে ৫ মিনিট লাগে।”

রাজশাহীর রানা হোসেন জানান, “কল করলে মাঝপথে আওয়াজ কেটে যায়। কলড্রপ এখন বাংলালিংকের ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে মনে হয়।”

বরিশালের সাবরিনা ইসলাম বলেন, “সকাল-বিকাল দু’বেলা নেটওয়ার্কে সংকট বেশি। খুব বেশি ডেটা কিনলে সামান্য ভালো কাজ করে, কিন্তু সেটা তো সবাই পারে না!”

খুলনার তানভীর আহমেদ বলেন, “৪জি সিম নিলাম, ৪জি ফোন কিনলাম, কিন্তু বাংলালিংকের ৪জি গতিতে শুধু হতাশা। মনে হয় ২জি যুগে ফিরে গেছি।”

সিলেটের রুবেল মিয়া জানান, “মোবাইল ডেটা প্যাক শেষ হয়ে গেলেও গতি বাড়েনি। বলবো, বাংলালিংকের ডেটা কেনা মানে ধোঁকা খাওয়া।”

গ্রাহক জরিপেও চিত্র নেতিবাচক
সম্প্রতি এক বেসরকারি জরিপে দেখা গেছে, বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬২% গ্রাহক তাদের নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট গতি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে পিক আওয়ারে (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা) গতি কমে যাওয়া এবং কভারেজ সংকট প্রধান অভিযোগ হিসেবে উঠে এসেছে।

ভোক্তাদের দাবি

  •  বাংলালিংক গ্রাহকদের দাবির মধ্যে রয়েছে:
  • ফোরজি নেটওয়ার্কে বাস্তবগত উন্নতি
  • কলড্রপের হার কমানো
  • নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা
  • ন্যায্য রেটের বিনিময়ে নির্ভরযোগ্য সেবা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইভজি লাইসেন্স নেওয়ার পরেও যখন ৪জি নেটওয়ার্কে এত সমস্যা রয়ে যায়, তখন ভোক্তাদের আস্থা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে। সময়মতো নেটওয়ার্ক আপগ্রেড এবং ব্যাকএন্ড সাপোর্ট শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলালিংকের সামনে।