December 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 22nd, 2023, 8:31 pm

কামিন্সের ‘এক নম্বর’ জয়ে হতাশ স্টোকস

অনলাইন ডেস্ক :

বার্মিংহামের এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২ উইকেটের নাটকীয় জয়কে নিজের ক্যারিয়ারের ‘এক নম্বর’ বলে অভিহিত করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ২৮১ রানের টার্গেটে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন একপর্যায়ে ২২৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে হারের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। নবম উইকেটে নাথান লায়নকে নিয়ে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন কামিন্স। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন কামিন্স। ২ বাউন্ডারিতে ২৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেন লায়ন। নিজের ৫১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই জয়কে সবার উপরে রাখছেন কামিন্স। ম্যাচ শেষে কামিন্স বলেন, ‘এক নম্বর, অবশ্যই এক নম্বর। অ্যাশেজ সিরিজর প্রথম ম্যাচে এরকম জয় এক নম্বর।’ ২০১৯ সালের অ্যাশেজে হেডিংলিতে ১ উইকেটে হারের বেদনায় পুড়তে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।

শেষ উইকেটে জ্যাক লিচকে নিয়ে ৭৬ রান যোগ করে ইংল্যান্ডকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। অবশ্য লায়ন রান আউট মিস না করলে নিশ্চিত জয় ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। ঐ ম্যাচের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে কামিন্স বলেন, ‘হ্যা, আমি যদি সেটি নিয়ে না বলি, তবে মিথ্যা বলা হবে। শেষ সিরিজের আমরা একই অবস্থায় ছিলাম। আপনি যখন উল্টো পাশে থাকেন তখন সত্যিই খারাপ লাগে ও মনে হয় কিছু ফসকে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি এখন আমাদের সুখী ড্রেসিং রুম। এই দলের অনেকেই হেডিংলিতে ছিল, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, ফসকে যাওয়া কিছুকে এবার মুঠোয় নিতে পেরেছি। যা সন্তেুাষজনক।’ পুরো ম্যাচেই সমানতালে লড়াই হয়েছে উল্লেখ করেন কামিন্স। জয়ের কাছাকাছি এসে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বলে জানান তিনি, ‘সম্ভবত ১০ বা ১৬ রান দূরে থাকতে ওভার প্রতি ২ রান প্রয়োজন হলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকে শুরু করে পুরো ম্যাচই আসলে ৫০-৫০ ছিল। ম্যাচটি কখনও খুব বেশি এক দিকে হেলে পড়েনি বা নাগালের বাইরে চলে যায়নি।’ অন্যদিকে হারলেও এমন টেস্টের পারফরম্যান্সে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্টোকস। প্রথম টেস্টের আবহে সিরিজের বাকী চার টেস্টের আগ্রহ-উন্মাদনা অনেকখানি বেড়ে গেছে বলে জানান স্টোকস, ‘টেস্টকে পঞ্চম দিনের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। অনেক আবেগ, উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েও গেছি আমরা। এটা আমাদের খেলা এমন আরও একটা টেস্ট, যা আমরা কখনো ভুলবো না। আমরা এটাই করতে চাই, দর্শকদের খেলা দেখার জন্য সিট আঁকড়ে বসিয়ে রাখতে চাই। আশা করি, অ্যাশেজে পরের চারটা টেস্টের জন্য আমরা কিছু মানুষের মনোযোগ বাড়াতে পেরেছি।’