July 30, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, May 28th, 2025, 4:35 pm

কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ ড্রাগন ফল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করে অনেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে বিশাল ড্রাগন ফল বাগান। এখানে মাল্টা,লেবু,পেপে,পেয়ারা ও কমলাসহ সাইট্রাস জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রয়েছে।
যৌথভাবে পরিচালিত ফারর্মাস এগ্রো বাংলা লিঃ এ সরেজমিনে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেয়ারটেকার মো. আশরাফুল আলম বলেন,অন্যান্য কৃষি কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় কিন্তু ড্রাগন চাষে তার খুব দরকার হয় না। তিনি আরোও বলেন, চারা লাগানোর সময় হতে ১৮ মাস বয়স হওয়ার পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। চৈত্র মাসে গাছে ফুল আসে বৈশাখ মাস থেকে ফল ধরা শুরু হয়।
উপজেলার নাগরি ইউনিয়নের সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ড্রাগন ফল বাগানের সত্বাধিকারী মো. শওকত আলী ভেনু প্রতিবেদককে বলেন, বাগানের প্রায় ৩৫০ শতাংশ জমির মাঝখান হতে প্রায় একশত শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। বিষমুক্ত সম্পূর্ন অর্গানিক পদ্ধতিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি অনুসরণ করেই বাগান স্থাপন ও পরিচর্যার কাজ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাগানে প্রায় চার হাজারের উর্ধে ড্রাগন ফলের চারা রয়েছে। এবছর ভাল ফুল ধরেছে। ফলন হলে বেকার যুবকদের প্রেরণা যুগাবে।
ড্রাগন বিদেশী ফল হলেও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে এর চাষ হচ্ছে। এটি মূলত পাকা ফল এবং সরবত হিসেবে খাওয়া হয়। অত্যন্ত আকর্ষনীয় রঙয়ের কারনে এর সরবত জনপ্রিয়। ফল থেকে জ্যাম, জেলি,জুস,আইসক্রীম, ক্যান্ডি তৈরি করা হয়। ড্রাগন ফল গাড় গোলাপী, হলুদ ও সাদা রঙয়ের এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। জৈব উপাদান সমৃদ্ধ দোআশ মাটি এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পড়ে এরকম উম্মুক্ত স্থানে ড্রাগন ফল ভাল হয়। সাধারণ মার্চ এপ্রিল মাসে চারা রোপন করা ভাল। ড্রাগন চাষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জমিতে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গাজীপুর জেলাতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ রয়েছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের  পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডিসহ নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে।