গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের (৩৭) মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় কারা কর্তৃপক্ষ ওই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করে।
এসময় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি ও পনিরের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদ (৩৭) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার রাধা কানাই কবরস্থান এলাকার ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী ও শতদল কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলায় আসাদুজ্জামান চৌধুরী পনিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ওই বোমা হামলায় আট জন নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনা থানার মামলা নং- ০৮(১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/৩০২/৩৪/১০৯, ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আদালতের আদেশে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড, কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় একটিতে ১০ বছর অন্যটিতে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়াও কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এই ফাঁসি কার্যকর হয় জল্লাদ শাহজাহানের হাতে। মৃত্যু নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. আশিফ রহমান ইভান।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয় রাত সাড়ে ১২টার দিকে।
(সূত্র : ইউএনবি)
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে