কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শীতের এমন পরিস্থিতিতে সব পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব, অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। শীতের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও শুক্রবার সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাঁটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কাঁঠালবাড়ি সিনাই গ্রামের মোজা মিয়া বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়ায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবারও ঠান্ডা খুব বেশি।
তিনি আরও বলেন, হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে। পানি, ইট, সিমেন্টের কাজ করা খুবই কষ্টের। নেই গরম কাপড়। কেউ একটা কম্বলও দিল না।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসটি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। গত ১০-১২ বছরে জেলায় এমন শীতে প্রভাব পড়েনি।
কেননা এ বছর উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার। ফলে ঠান্ডার তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আজ শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এরকম তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন থাকতে পারে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন
কোম্পানীগঞ্জে বাস চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু,আহত ২