October 4, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 8th, 2024, 7:33 pm

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, পানিবন্দি সোয়া ১ লাখ মানুষ

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত।

ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্ট ২৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, রাজারহাট, চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর এই ৯ উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ২৩ হাজার ৪৫২ পরিবারের ১ লাখ ১৭ হাজার ২৬০ জন পানিবন্দি রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৩৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে এবং ৩টি বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৪০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ১৯২ জন বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ৩৮৭ টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৮ হাজার ৯৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছে চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।

বানভাসি মানুষের জন্য সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে তেমন সাড়া নেই বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

—-ইউএনবি