জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদীর চর খননের পর জব্দকৃত সরকারি বালু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ওই বালুর একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যবহারের জন্য জিওব্যাগে ভরে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২-১৩ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা গত ২১ মে মনু নদীর চর খননের মাধ্যমে উত্তোলিত বালু নিলামের জন্য বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কুলাউড়াসহ সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জব্দ হওয়া বালুর পরিমাণ ও অবস্থান উল্লেখ ছিল। এর মধ্যে তাজপুর চরে জব্দকৃত বালুর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯ ঘনফুট।
কিন্তু নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের কটারকোনা মৌজায় জব্দকৃত বালু ব্যবহার শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ২৮ জুন বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকা থেকে বালু তুলে নেয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, গত দুই মাস ধরে বালু সরিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
হাজীপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ব্যবহারের বিরোধিতা করেন এবং নিলামের প্রমাণপত্র দেখাতে বলেন। বিষয়টি এসিল্যান্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহরুল হোসেন বলেন, বালু সরিয়ে নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে এবং জিওব্যাগে ভরা বালু ফেরত দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে মামলা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, অনুমতি ছাড়া সরকারি বালু অন্যত্র নেওয়া অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিগগিরই নিলাম কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন
খুলনায় প্রেস সচিবকে আটকে রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও এনসিপির নেতা কর্মীরা
খুলনার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আছে: প্রেস সচিব
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ