জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টারের (এএসএম) কামাল হোসেন কর্তৃক যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে উত্তাল হয় স্টেশন এলাকা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. মহিউদ্দিনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। মূহুর্তেই এখবর উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে সহকারী স্টেশন মাস্টার কামালের অপসারণ ও শাস্তির দাবি এখন সর্বত্র।
১৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে উপস্থিত যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। ট্রেনের সময় জিজ্ঞেস করায় এবং ওয়েটিং রুম খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ট্রেন বন্ধের ঘোষণা দিলে প্লাটফর্মে থাকা শত শত যাত্রী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা সহকারী স্টেশন মাষ্টারের এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে কয়েকজন যাত্রী শৌচাগারের চাবি ও ট্রেনের সময়সূচি জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. কামাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি টেলিফোনের রিসিভার ছুড়ে মারেন, যাত্রীদের দিকে তেড়ে আসেন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কারনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস কুলাউড়া স্টেশনে পৌনে ২ ঘন্টা আটকা পড়ে। পরে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং পৌনে ২ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুলাউড়ার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা শফিক আহমদ বলেন, “সহকারী স্টেশন মাস্টার কামাল হোসেন মূলত আওয়ামীলীগের দোসর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।”যুড়ান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, “কামাল সাহেবের আচরণ দেখে আমাদের মনে হচ্ছিলো যেন রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনগুলো তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।”কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই বলেন, “আমরা ট্রেনের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছি। সে সময়ও কামাল হোসেন আমাদের চরমভাবে হুমকি দেন। এতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”
এ বিষয়ে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমেদ বলেন, “ভিডিওটি আমি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিগগিরই বিষয়টি সুরাহা হবে।”এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন জানান, স্টেশনের এ পরিস্থিতি শুনে স্টেশনে ছুটে আসি এবং যাত্রী ও স্টেশনে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বড় মাষ্টারসহ সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন
কয়রায় বেহাল সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগ, চলাচলে বাড়ছে দূর্ঘটনা
বাংলাদেশে নির্বাচনী কারবালা হয়ে যেতে পারে : রংপুরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে করাবন্দীদের সভা