কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনুমোদনহীন সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান।
এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আতাউর রহমান, র্যাব, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ইট ভাটায় ড্রাম চিমনির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ভাটা মালিক অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে
বাকি ব্রিকস, সাগর ব্রিকস, সৈনিক ব্রিকস, জহুরা ব্রিকস, সিফাত ব্রিকস, এসআরবি- ২ ও এসআরবি- ৩ নামের সাতটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও জানা গেছে, অভিযানে সাতটি ভাটার প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ইট ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান চলমান রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানের সরেজমিন থেকে দেখা গেছে, এক্সেভেটর দিয়ে ভাটার চারিদিকের দেয়াল ও ড্রামনি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কাঁচা ইটগুলো ট্রাক্টর ও পোড়ানো ইটগুলো এক্সেভেটর দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জ্বলন্ত ভাঙা ভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে অবৈধ ড্রাম চিমনি ব্যবহৃত ভাটাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ভাটায় অভিযান চালানো হবে। যদুবয়রাতে সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক ইট।’
এদিকে অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সময়োপযোগী অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মুহূর্তেই শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমান অভিযান দেখতে। এমন অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
দাগনভূঞায় দূর্গোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দুঃস্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে মেজবাহ্ সাঈদ
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু