অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে একদিকে যেমন সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল বাড়ছে, অন্যদিকে ঠিক তেমনি অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন যুদ্ধে। আত্মরক্ষার্থে বন্দুক কিনে তা চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন দেশটির শত শত মানুষ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে দিন দিন জোরালো হচ্ছে হামলা। এ অবস্থায় রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলার হাত থেকে প্রাণে বাঁচাতে স্বদেশ ছেড়ে সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। অনেকে দেশ ছেড়ে পালালেও কেউ কেউ আবার দেশে থেকেই আত্মরক্ষার্থে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বন্দুক চালানোর। ইউক্রেনের লাভিভ শহরের বন্দুক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এমনই ভিড় দেখা যায় দেশটির সাধারণ মানুষের। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটির সাধারণ মানুষ বন্দুক কিনে তা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। দিন দিন এ ভিড় বেড়েই চলছে। রুশ বাহিনীর হামলার আগে দোকানগুলোতে ৭০০ ধরনের বন্দুক মজুত থাকলেও এখন তা নেমে এসেছে ৪০-এ। একজন বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দুক বেচার ধুম শুরু হয়েছে। আর তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কাছে অনেক রকমের অস্ত্র ছিল তবে এখন কমে এসেছে। আত্মরক্ষার্থে অনেকেই বন্দুক কিনে তা চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সাধারণ মানুষের জন্য বন্দুক কেনা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। যেন আত্মরক্ষার্থে মানুষ বন্দুক ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন