November 25, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 25th, 2025, 8:41 pm

কেরু চিনিকলে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, অবরোধে আটকে এমডি–কর্মকর্তারা

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা উত্তেজনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭–৮ জন শ্রমিক। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে এক পক্ষ সকাল থেকেই মিলের প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখে, ফলে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাব্বিক হাসানসহ কর্মকর্তারা ভেতরে আটকা পড়েন।

কেরু চিনিকলে দুই বছর পরপর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হয়ে থাকে। চলতি বছরের ১৪ মার্চ ভোটের দিন ঠিক করা হলেও অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ১১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। আট মাস ধরে নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে—একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন সাবেক নেতা, অন্যদিকে বর্তমান কমিটির নেতাদের একাংশ অবস্থান নিয়েছেন বিপরীতে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর শতাধিক শ্রমিক নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধান ফটকের সামনে বসে ও শুয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান এমডি রাব্বিক হাসানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে উত্তেজিত শ্রমিকরা তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং ধাওয়া করে। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও সাবেক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোতালেব শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রমিকদের একাংশ তাঁদেরও ধাওয়া করে। পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় মিল এলাকায় সেনা সদস্য ও পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাবেক সভাপতি মো. তৈয়ব আলী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, “ভোটের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।”

কেরু চিনিকলের এমডি মো. রাব্বিক হাসান বলেন, “শ্রমিক–কর্মচারীরা দুই দলে বিভক্ত। কেউ কারও কথা শুনছে না। সকাল থেকে ফটকে অবস্থান নেওয়ায় আমরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। বিকেলে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।”

দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুলতান আহম্মেদ জানান, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে অবস্থা শান্ত রয়েছে।”

এনএনবাংলা/