বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল সতর্ক করে বলেছেন,জাতীয় নির্বাচন কোনো কারণেই বিলম্বিত হলে দেশ ফের ফ্যাসিস্ট মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হবে।সোমবার তেরখাদা উপজেলায় দিনব্যাপী গণসংযোগ, বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সবুজ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোষিত ‘একটি বাড়ি একটি গাছ—সবুজায়নের অঙ্গীকার’ এবং ২ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় তেরখাদা বাজারে গণসংযোগ শুরু করেন হেলাল। তিনি বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে কাটেংগা তালতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ করে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরাই ভবিষ্যৎ। পিতামাতার পর শিক্ষকের স্থান—এটি জীবনে ধারণ করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণও তোমাদের জন্য জরুরি।”
দুপুর দেড়টার সময় তিনি বর্ণমালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মতবিনিময় ও বৃক্ষরোপণে অংশ নেন। এরপর বারাসাত শামছুল আলম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আলাপ-আলোচনা শেষে বৃক্ষরোপণ করেন।
বিকাল সাড়ে চারটায় বারাসাত উত্তর খুলনা এস এম এ মজিদ স্মারক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন,“প্রিয় বারাসাতবাসী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই শুভেচ্ছা। আপনারা জানেন—এই বারাসাতের সঙ্গে যুক্ত বাসুয়াখালি বিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজ হাতে খাল খনন করেছিলেন। তিনি ছিলেন এমন রাষ্ট্রপতি, যিনি মাঠে নেমে মানুষের কাজে হাত লাগাতেন।”
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হেলাল বলেন,“৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট মাফিয়া নিজের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে পলায়ন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই—এই আতঙ্কে বিএনপির উত্থান ঠেকাতে তারা এখন মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। অথচ বিএনপি চারবার দেশ পরিচালনা করেছে এবং ভবিষ্যতে সঠিকভাবে দেশ চালাতে সক্ষম একমাত্র দল বিএনপি। আমরা পুরোনো জরাজীর্ণ কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এগোচ্ছি।”
তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম বছরেই ১ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তেরখাদায় হিমাগার নির্মাণ, আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন, সড়ক-সেতু ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তার ভাষায়, “আপনারা আপনাদের উপজেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন, আমিও ভাবি। সবাই মিলে তেরখাদাকে আধুনিক ও উন্নত উপজেলায় রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সার্চ কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওছার আলী।উপস্থিত ছিলেন— খান জুলফিকার আলি জুলু, এনামুল হক সজল, আরিফুজ্জামান আরিফ, আতাউর রহমান রনু, আজগর আলী, আব্দুস সালাম মল্লিক, গোলাম মোস্তফা তুহিন, ফখরুল ইসলাম বুলু, মাহাবুর মোল্লা, ইকরাম হোসেন জোমাদ্দার, সাজ্জাদ হোসেন নান্টা, শরিফ নাইমুল হক নাইম, হুমায়ুন মোল্লা, আলমগীর, পলাশ মেম্বার, সোহাগ মুন্সি, সাব্বির আহমেদ টগর, ইমামুল মোল্লা, শামিম আহমেদ রমিজ, সোহেল, লিমন, আসাদ, জাহিদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন
পীরগঞ্জে সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
কুলাউড়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
খুলনা কৃষিতে নিয়োগে পতিত ফ্যাসিস্ট