অনলাইন ডেস্ক :
কোভিড নীতি সহজ করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় চার বছর ধরে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল পিয়ংইয়ং। ফলে বিভিন্ন দেশে আটকা পড়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা। দীর্ঘ সময় ধরে তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে এই সংকট কাটতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে দেশে ফিরলেই ঘরে ফিরতে পারবেন এমনটা নয়। উত্তর কোরিয়ায় পৌছানোর পর নাগরিকদের কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিশ্বের অল্প কিছু দেশেই এখনও কোভিড নিয়ে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়া অন্যতম। দেশটিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটও এতদিন ধরে বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের পর গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো পিয়ংইয়ং থেকে বেইজিংয়ে একটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে।
গত সপ্তাহেই বেইজিং এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল পুনরায় চালু করেছে চীন। গত মাসে চীন এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ায় সফর করেছেন। তারা পিয়ংইয়ংয়ে একটি সামরিক প্যারেডে অংশ নিয়েছেন। উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর প্রথম বারের মতো বিদেশি কর্মকর্তারা দেশটিতে সফর করলেন। এছাড়া সম্প্রতি ক্রীড়াবিদদের একটি প্রতিনিধি দলকে কাজাখস্তানে একটি তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। গত মঙ্গলবার একটি এয়ার কোরিও বিমান উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে পৌঁছায়। সে সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ে যাওয়া ফিরতি ফ্লাইটে কে বা কারা ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে ইয়োনহাপ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাইনে অপেক্ষারত যাত্রীরা ছিলেন উত্তর কোরিয়ার। চীনে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে অনেক শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং কূটনীতিক আটকা পড়ে আছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের এখন দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হলেও বিদেশি কূটনীতিক এবং সহায়তা কর্মীদের কখন দেশে যেতে দেওয়া হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২০ সালের প্রথম দিকেই সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য