January 13, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, January 12th, 2025, 9:00 pm

কোম্পানীগঞ্জে বিলুপ্ত পথে খেজুর গাছ ও রস!

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
কোম্পানীগঞ্জে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী খেজুর গাছের রস এখন আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না । এতে করে গাছিরাও হতাশ। আজ থেকে ১৫-২০ বছর পূর্বে যে পরিমাণ খেজুর গাছ ছিল, বর্তমানে তা আর নেই বললেই চলে।
ইট ভাটার মালিকেরা চড়া দামে খেজুর গাছ কিনে নিতো, এখনো নিচ্ছেন। ফলে খেজুর গাছের সাথে রসও হারিয়ে যাচ্ছে এ জেলাবাসীর কাছ থেকে। এছাড়া পূর্বের তুলনায় জনসংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে চাহিদার তুলনায় রস কম। এছাড়া অপরিকল্পিত বাড়ি ঘর তৈরির ফলে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় খেজুর গাছ আনুপাতিক হারে নেই বললেই চলে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে  বিভিন্ন গ্রামের লোকজন সকালবেলা রোদ-পিট করে সকালে উঠেন খেজুরের রসের গরম সিন্নি ও মুড়ির সাথে মজা করে খেজুরের রস খেতেন, বর্তমানে সেই সুযোগ আর হচ্ছে না। এছাড়া গ্রাম বাংলায় খেজুরের রসের পিঠা ছিল খুব নামকরা। নতুন জামাইকে শাশুড়িরা খুব যত্ন করে রসে ভেজানো পিঠা খেতে দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যর বিষয় খেজুর গাছ এখন আর নেই। খুবই স্বল্প দুই একটা থাকলে ও গাছিরা নেই, ফলে পিঠা ও রসের সিন্নি দিয়ে আপ্যায়ন করা আর সম্ভব হচ্ছে না আর হবেও না। গ্রাম বাংলার এক শ্রেনীর মানুষ খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করতেন। শীতের সিজন ছিল সব চেয়ে বেশি একটা আনন্দের ও আয়ের উৎসব। গাছ না থাকার কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না।
সম্প্রতিকালে বাজারে এক শ্রেণীর গুড়ের পাটালি পাওয়া যায়, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত পাটালীতে গুড়ের চেয়ে চিনি কেমিক্যালের পরিমাণ অনেক বেশি। যার কারণে উক্ত পাটালির স্বাদ প্রকৃত পাটালির সাদ থেকে ভিন্ন। জেলা শহরের পৌরবাজারের ব্যবসায়ী মোঃ সাহাদাত উরফে হাডারির দোকানে ওর সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা পাটালি কিনে এনে বিক্রি করি, কিন্তু পরিমাণ মতো রস নেই কিভাবে এটা বানাইয়া দেয়। বেশিরভাগ আসে উওরবঙ্গ ও রাজশাহী থেকে কারণে সেখানে চিনি উৎপাদন বা অন্যান্য কেমিক্যাল মিশায় সহজে। কারণ এখন তো খেজুরের গাছ ও রস নেই । তাহলে কি ভাবে এতো হাজার হাজার মন খেজুরের গুড় বাজারে আসছে। যদিও চিনি যুক্ত পাটালি পাওয়া যায় প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। পিঠা বানালেও তৃপ্তি নেই।
অদূর ভবিষ্যতে খেজুর গাছ ও রসের কথা যদি বর্তমান প্রজন্মের কাছে বলা হয় তাহলে তাদের কাছে তা রূপকথার গল্প মনে হবে।