October 19, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 19th, 2025, 7:05 pm

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে: বিজিএমইএ

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে বিজিএমইএ নেতারা জানান, এই দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য—বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত—গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদসহ অন্য নেতারা। পরে নিট পোশাক প্রস্তুতকারক সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও ঘটনাস্থলে যান।

লিখিত বক্তব্যে ইনামুল হক বলেন, সাধারণত উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি চালান আকাশপথে পাঠানো হয়। আগুনের ঘটনায় এসব তৈরি পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল এবং নতুন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আগুনে শুধু বর্তমান রপ্তানিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাও বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে।”

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে।

ইনামুল হক খান আরও জানান, প্রতিদিন ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। তাই ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হতে পারে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি—পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে গেছে। আমাদের ধারণা, ক্ষতির পরিমাণ অন্তত এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) টাকার বেশি।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাণিজ্য উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নতুন পণ্য আমদানিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আপাতত টার্মিনাল-৩–এ নতুন স্থানে আমদানি পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত পণ্য খালাসের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফয়সাল সামাদ বলেন, “কাস্টমসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত মালামাল খালাস করা যায়। এমনকি শুক্র ও শনিবারও কাজ চলবে—এখন ব্যবসার স্বার্থে আর সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না।

এনএনবাংলা/