তীব্র তাপদাহে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নিম্নআয়ের যেসব মানুষকে বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে-সেখানে পানি, শরবত ইত্যাদি পান করে অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীও বেড়েছে খাগড়াছড়িতে।
বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ মৌসুমি রোগবালাই। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা মেলে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মেঝেতে রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে বহিঃবিভাগেও।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে একটি বেডে বিপরীতে ২ জনেরও বেশি শিশু। ইদানীং প্রতিনিয়ত জেলা আধুনিক হাসপাতালে ১৫ বেড থাকলেও চিকিৎসাধীন ৪০ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি বেডের বিপরীতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ২০২ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১ ২৯ জন রোগী আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ মাসে নিউমোনিয়ায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, আউটডোর ও ইনডোরে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছেও বলে জানান তিনি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামী
রংপুরে সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত