খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দফায় জেলায় জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে সকাল সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে।
আজ শনিবার ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধে জেলার বিভিন্ন সড়কে পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে গেছে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা।

জানা গেছে, সাজেক ভ্যালিতে প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। খাগড়াছড়ি শহরেও বহু পর্যটক অবস্থান করছেন। খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আরিফ জানান, শুক্রবার অন্তত ২০০টির বেশি গাড়ি সাজেকে গেছে। শনিবারও গাড়ি প্রস্তুত থাকলেও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি শহরের বলপাইয়ে আদাম এলাকায় অন্তত ছয়-সাতটি গাড়ি আটকে রেখেছেন পিকেটাররা। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নৈশ কোচও জেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে আছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা হলেও তা সরিয়ে দিতে কাজ চলছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পু্লিশ মোতায়ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার থেকে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে জুম্ম ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনের ডাকে গত বৃহস্পতিবার আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত হয়। গতকালের সমাবেশ থেকে আজকের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা হয়। জুম্ম ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্রপরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুবফোরাম।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
আইসিইউতে খালেদা জিয়া
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
নাসা গ্রুপের নজরুলের আরও ৪৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নির্দেশ