সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক:
বাড়িতে তৈরি পায়েস-মিষ্টিতে খোসা ছাড়ানো কয়েক টুকরো পেস্তা দিলেই খাবারের কদর বেড়ে যায়। তবে শুধু তো খাবারের স্বাদ নয়, পেস্তা খাওয়া শরীরের জন্যও ভালো। অন্যান্য বাদামের চেয়ে দাম একটু বেশি বলে অনেকে তা খেতে চান না। কিন্তু প্রতিদিন মাত্র দুইটি পেস্তা খেলে যদি ওষুধ খরচ বেঁচে যায়, তবে একটু দামি হলেও খাওয়া যেতেই পারে।
পেস্তায় রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ওমেগা-৩। চোখ, চুল, ত্বক, হার্ট— সবই ভালো রাখে এই ড্রাই ফ্রুট।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম তো রয়েছেই।
সঙ্গে দুপুর-বিকেলের দিকে যদি দুটো পেস্তা খেতে পারেন, খারাপ হয় না। এই বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ অন্যান্য বাদামের চেয়ে বেশি। পেস্তায় ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ অনেক কম। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
যারা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও নিশ্চিন্তে এই বাদাম খেতে পারেন।
অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে পেস্তা। যা বিপাকক্রিয়া ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে করে এবং পরিপাকতন্ত্রের খেয়াল রাখে।
পেস্তাবাদামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। শরীরে ইনফ্ল্যামেশন প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বাদাম।
ডায়বেটিক রোগীরা অবশ্যই এই ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন।
পেস্তায় রয়েছে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, যা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে। পেস্তা হাই ফাইবার ও হাই কোয়ালিটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। যা ফেরায় স্বাস্থ্যের হালো। ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এতে আছে টোকেফেরল, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
পেস্তায় আছে ভরপুর ভিটামিন ই। যা ত্বক ও চুলের শুষ্কতা কমায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলেই এর পুষ্টিগুণে ঝলমল করবে ত্বক ও চুল।
আরও পড়ুন
শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামী
রংপুরে সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শীতের রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন