নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও সাতজন। এ মামলায় ৬৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
এরপর তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
সাক্ষীরা হলেন-পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মো. মকবুল ই ইলাহী, পেট্রোবাংলার সিনিয়র ম্যানেজার মো. আবদুল খালেক, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সৈয়দ সাজেদুল করিম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রওশন আক্তার সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালেয়র সহকারী সচিব মো. মোতাহার হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কোহিনুর নাহার, নুরুন আকতার।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। তাদের মধ্যে কাশেম শরীফ, মীর মইনুল হক ও কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
কাঁদলেন গুলশানের সাবেক ওসি, বললেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন
ঢাকা মহানগরে তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে কাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ