করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া। গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বেগম খালেদা জিয়া। হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করতে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার। তবে আরও কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে খুব শিগগিরই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরা হচ্ছে না বিএনপি নেত্রীর।
চলতি মাসের শুরুর দিকে শ্বাসকষ্টের কারণে শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তা আটকে যায়।
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট কমে যাওয়ার সঙ্গে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। এ অবস্থায় তাকে কবে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা।
সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ড গুরুত্বসহকারে বেগম জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই চিকিৎসা কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, দলীয় চেয়ারপারসন কবে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন সেদিকে তাকিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল অভিহিত করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। বিএনপির নেতাকর্মী সবার মধ্যে নানা রকমের অসন্তোষ। সুতরাং, বেগম জিয়া বা তারেক রহমান বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে নতুন করে ছক করে আন্দোলনে যেতে হবে।
আরও পড়ুন
১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর দয়াগঞ্জে সড়ক অবরোধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল’