খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত ভিড় ও জনবল সংকটের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
৫০০ শয্যার হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা ৩ গুণ বেশি হওয়ায় শয্যা স্বল্পতার কারণে খুমেক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকদেরও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খুমেকের উপ-পরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, নতুন বিভাগ খোলার পর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সম্প্রসারিত করায় রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভিড় করছেন।
তিনি আরও বলেন, যদিও আমরা রেকর্ড সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে অনেক সংগ্রাম করছি, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় ইউএনবির এই সংবাদদাতা দেখতে পান, হাসপাতাল ভবনের প্রবেশদ্বারের কাছে মেঝে, বারান্দা এবং সিঁড়িগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। বিছানার স্বল্পতার কারণে অনেকেই মেঝেতে মাদুর, বাথরুমের কাছে এবং সিঁড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
রূপসা উপজেলা থেকে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবাকে নিয়ে এসেছি। গত ৭ দিন ধরে তিনি বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় গরমে বাবার খুব কষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের কর্মীরাও ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন কারণ তারা বিপুল সংখ্যক রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খুমেকে ১৬টি বিভাগের ৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে ৮১টি পদ দীর্ঘ সময় ধরে শূন্য রয়েছে। কর্মীদের অপর্যাপ্ত জনবলের সঙ্গে রোগীদের সামাল দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, কর্মী নিয়োগ ও আবাসন সম্প্রসারণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান চিকিৎসকরা।
খুমেকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন রায় বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি এবং উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে রোগীরা এখানে আসেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরও বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সক্ষমতা যদি আরও বাড়ানো যায়, তাহলে এখানে রোগীর চাপ কমতো।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল দিল্লির সুপারশপে
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম