June 27, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, June 25th, 2025, 7:17 pm

খুলনায় গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

খুলনা ব্যুরো:

খুলনায় ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনকল্পে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে কেসিসির সাবেক মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে অভিযোগপত্রটি জমা দেন ভিকটিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছর ৮ জুলাই খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গা থানাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে থেকে বাদীকে মুখোশধারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের সমন্বয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চোখ, হাত-পা বেঁধে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয় এবং আন্দোলন বন্ধের হুমকি ও নির্যাতন চালানো হয়। পরবর্তীতে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আড়ংঘাটা বাইপাসের পাশে একটি বাগানে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

অভিযোগপত্রে যেসব ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল, শেখ হেলাল, সালাম মুর্শিদী, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, যুবলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, উপ-কমিশনার সোনালী সেন, এডিসি গোপীনাথ কানজিলাল, ডিবি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, সাবেক ওসি মনির, ওসি মমতাজ, এসআই হাসান ও সুমন মন্ডল, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্দোলন দমনে আমাকে গুম করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। যারা এই জঘন্য অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আমি চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ আর ন্যায্য দাবিতে রাজপথে নামার কারণে আমার মতো নিখোঁজ না হয়।”

তিনি আরো জানান, ঘটনার সময় অনেকে মুখোশ পরা থাকায় তাদের শনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত সংস্থার কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন— সকল সহযোগী ও পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করা হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কেউ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।