খুলনায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ক্রমেই বাড়ছে, কোনোভাবেই তাদের বাগে আনা যাচ্ছে না। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে খুলনা শহরের শিববাড়ি এলাকায় ফজিলা মেডিকেল হল নামে একটি ঔষধের দোকানে প্রকাশ্যে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দুর্বৃত্তচক্র এ হামলায় অংশ নেয়। হামলার সময় এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলা ও ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন শাকিল নামে এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে শাকিল বলেন, “আমার বড় বোন মেরির সঙ্গে মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে।”
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, শাকিল নামে মেরি ইসলামের কোন ভাই নেই।
এ নিয়ে মেরিকে একাধিকবার কল দিলে সে রিসিভ করেনি। সরজমিনে আমরা গেলে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১৯৮৮ সাল থেকে মেরে ইসলামের পিতা কেরামত আলী খানের নিকট হতে পজেশন প্রাপ্ত হয়ে চুক্তি মোতাবেক মাসিক ভাড়া প্রদান করে আসছি । তাছাড়া মেরি ইসলামের পিতার মৃত্যুর পর মেরি ইসলাম ২০০৮ সালে আমাদের সাথে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হন। নতুন চুক্তি মোবেক প্রতিমাসে তার ব্যাংক একাউন্টে আমরা টাকা জমা দিয়ে যাচ্ছি ।
ঘটনাটির পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, না হলে এ ধরনের হামলা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক খুলনা জেলা সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী যে ই হউক কেউ ছাড় পাবে না। দোষী সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে আহবান জানাচ্ছি।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি অভিযোগ সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক
নারায়ণগঞ্জে ফেরি থেকে নদীতে পড়ে গেল ট্রাকসহ ৫ যান, নিহত ৩
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে নাটোরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন