খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫, যেখানে খুলনা অঞ্চলের কারিগরি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি উপস্থাপন করেছে।
প্রতিযোগিতায় খুলনা অঞ্চলের ২৯টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬১ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং ৮৭টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে সেরা ৭টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়ে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, এএসএসইটি প্রকল্পের আওতায়। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কার সবার সামনে তুলে ধরা এবং তাদের প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, পরিচালক (ভোকেশনাল) প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, পরিচালক (পিআইইউ) প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান এবং খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক (উপ-সচিব) মো. মিজানুর রহমান। খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার সভার সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুন্নবী মোল্লা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সকালে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বর্ণাঢ্য রালি বের হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক সেমিনার এবং দিনশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, শিল্পকারখানা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
প্রতিযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক পর্ব গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ২১১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং ৩,২০৯টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩টি প্রকল্প আঞ্চলিক পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়।
জাতীয় পর্ব আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দেশের ৮টি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত ৫০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প অংশগ্রহণ করবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনটি প্রকল্পের উদ্ভাবকদের প্রদান করা হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

আরও পড়ুন
ধানের শীষের প্রচারণায় মুখরিত রংপুর সদরের খলেয়া ও হরিদেবপুর ইউনিয়ন
হোসেনপুর থানায় নতুন ওসির যোগদান
সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি সদস্যবৃন্দ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সংবর্ধনা