রূপ বদলাতে শুরু করেছে খুলনা মহানগরীর। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা মহানগরী পরিণত হয়েছে পিঠার নগরীতে।
খুলনা নগরীর মোড়ে মোড়ে এখন পিঠার দোকান। পিঠা তৈরির হিড়িক পড়েছে যেন।
পিঠার দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে পাকান, চিতই, পাটি, পুলি (ঝাল ও মিষ্টি), ভাপা, রসমালাই, জামাই, সেমাইসহ বিভিন্ন রকম পিঠা শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।
দুপুরের পর থেকেই পিঠা বানানো শুরু হয়। আর তা চলে রাত দশটা পর্যন্ত।
বিকাল থেকে পিঠা খাওয়ার জন্য পিঠাপ্রেমীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন দোকানগুলোতে। অনেক দোকানেতো এক থেকে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর পিঠা নিতে হয়।
তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চিতই পিঠার। গরম চিতই কেউ গুড় দিয়ে, আবার কেউ ধনিয়া পাতা, শুকনা মরিচ গুঁড়ার মশলা বা চাটনি দিয়ে খেতে পছন্দ করে।
পছন্দের তালিকায় দ্বিরীয় অবস্থানে আছে ভাপা পিঠা। এই পিঠা মিষ্টি ও ঝাল দুই ধরনের পাওয়া যায়।
সেমাই পিঠার সঙ্গে হাঁসের মাংস খুলনা এলাকায় জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত জামাই বা নতুন কেউ বাড়িতে আসলে এই পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
খুলনা নগরীতে পাড়ায়, মহল্লায় এখন সারি সারি পিঠা বানানোর দোকান চোখে পড়ে। নগরীতে চারশ’র বেশি পিঠার দোকান আছে। তবে জেলার জাতিসংঘ পার্কের সামনের পিঠার দোকান গুলো বেশি আকর্ষণ করে ক্রেতাদের।
গতবারের চেয়ে এবার পিঠার দাম একটু বেশি। প্রকারভেদে বিভিন্ন পিঠার দাম বিভিন্ন রকম।
নিরালা এলাকার পিঠা বিক্রেতা আমেনা বেগম জানান, গতবারের তুলনায় এবার পিঠা বানানোর সব উপাদানের দাম বেশি হওয়ায় পিঠার দাম বেশি। আতব চাল, নারিকেল, তেল, গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় পিঠার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রায় সত্তর বছর বয়সী বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক আলহাজ্ব রুস্তম আলী হাওলাদার জানান, দশ বছর যাবত তিনি পাওয়ার হাউজ মোড়ে পিঠার দোকান থেকে পিঠা খান। তবে এবার দাম বেশি।
তিনি আরও জানান, তিনি শুধু নিজেই খান না, পরিবারের জন্য পছন্দমতো পিঠা কিনে নিয়ে যান।
নতুন বাজারের পিঠা বিক্রেতা মোস্তাফিজ বলেন, ছুটির দিন বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার খুব বেশি ভিড় হয়। অনেকে পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে আসেন। এই সময় চাহিদা মতো পিঠা দেয়া সম্ভব হয় না।
এদিক খুলনার অনেক নারী অনলাইনে অর্ডার নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও বাসা-বাড়িতে পিঠা সরবরাহ করেন।
এক কথায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই পিঠা বিক্রি ও তৈরি চলবে আগামী মার্চ মাসের শেষ দিন অবধি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
খুলনা ওয়াসার নকশাকারক চলেন অফিসারের ভঙ্গিতে
জাতীয় সমাবেশ সফল করতে শাহরাস্তি পৌরসভায় লিপলেট বিতরণ
ড. ইউনূস চান না তাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা হোক