অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত। দীর্ঘদিন পর দেশটির সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেওয়া হলো। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এখন থেকে পর্যটক ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা যাদের আছে তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত। খবর বিবিসির। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন একে ‘অসাধারণ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি ‘সতর্ক প্রক্রিয়ার’ অংশ।খবরে বলা হয়, এখনো পর্যটকদের দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। কিন্তু কোনো ধরনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। দেশটির সমুদ্রসীমাও খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রুজ শিপ ও বিদেশি বিলাসবহুল ইয়ট এখন থেকে দেশটিতে আসতে পারবে। নিউজিল্যান্ড ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ক্রমে সীমান্ত খোলার কথা বলেছিল। ওই মাসেই দেশটি টিকা পাওয়া তার নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার অনুমতি দেয়। আর অন্য দেশ থেকে নাগরিকদের ফেরার অনুমতি দেয় মার্চে। মে মাসে নিউজিল্যান্ড ৫০টির বেশি দেশের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে শুরু করে। সোমবার (১লা আগষ্ট) অকল্যান্ডে চীন বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় আরডার্ন বলেন, ‘আমরা, বাকি বিশ্বের সঙ্গে আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি একটি বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলা করছি। কিন্তু মানুষকে নিরাপদ রাখা আয় ও সমৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপ করা নানা বিধিনিষেধের কারণে নিউজিল্যান্ডের পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চে এ খাত দেশটির জিডিপিতে অবদান রেখেছে মাত্র ২.৯ শতাংশ। যা আগের বছর ছিল ৫.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য