গঙ্গাচড়ায় আনন্দলোক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সাথে দাতাদের বার্ষিক সমাবেশ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: নেটজ বাংলাদেশ বিএমজেড জার্মানির সহযোগিতায় ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আনন্দলোক বিদ্যালয়ের অভিভাবক, বিদ্যালয় এলাকার ব্যাক্তি ও শিক্ষকদের সাথে দাতাদের বার্ষিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩ টায় গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কনফারেন্স রুমে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা। নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান ও মাস্টার দা সূর্যসেন আনন্দলোক বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দাতা সংস্থা আনন্দলোক ট্রাষ্ট এর ফান্ড রাইজিং অফিসার মিজানুর রহমান। আনন্দলোক বিদ্যালয় সমূহে স্বপ্ন প্রকল্পের কার্যক্রম প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন স্বপ্ন প্রকল্প, জেলা  জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন রংপুর জেলা সমন্বয়কারী মঞ্জুরুল ইসলাম। স্বপ্ন প্রকল্প, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন গঙ্গাচড়া উপজেলার এডুকেশন সুপারভাইজার শওকত আলী স্বপনের সঞ্চালনায় আনন্দলোক বিদ্যালয় সমূহ আগামীতে পরিচালনার জন্য পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন শিক্ষক শরীফ আহমেদ লাল, ইউপি সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের নেতা শেরে খোদা, ছাত্র প্রতিনিধি আরমান, সাংবাদিক আব্দুল বারী স্বপন, আব্দুল আলীম প্রামানিক, আনন্দলোক বিদ্যালয়ের স্থানীয় দাতা ব্যাক্তি হেলাল উদ্দিন, লিটন মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, গোলাম মোস্তফা, আনন্দলোক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মসিয়ার রহমান, রশিদুল ইসলাম, স্বপ্ন প্রকল্প, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার এডুকেশন সুপারভাইজার মহসিন রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানসম্মত ও শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে (বিশেষ করে চররাঞ্চলের যে এলাকায় কোন বিদ্যালয় নেই) গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৫ টি ও কাউনিয়া এবং পীরগাছা উপজেলায় ২ টি করে আনন্দলোক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয় গুলো স্বরণীয় বা বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বের নামে নামকরণ করা হয়। স্থানীয় জনগোষ্ঠী, স্বেচ্ছাসেবক, ব্যাক্তি পর্যায়ের দাতা ও নিয়মিত দাতাসংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আসায় আগামীতে বিদ্যালয়গুলো কিভাবে পরিচালিত হবে তার একটি পরিকল্পনার জন্য এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা আগামীতে আনন্দলোক বিদ্যালয়গুলো সঠিকভাবে পরিচালনার স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দাতা সংস্থার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করাসহ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও স্থানীয় দাতাগণ বিদ্যালয় পরিচালনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নিজেদের সহযোগিতার চেষ্টা করবেন বলে জানান।