April 8, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 7th, 2025, 12:31 pm

গঙ্গাচড়ায় আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র সাবেক কর্মকর্তা গোলজার রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে গঙ্গাচড়া উপজেলায় যোগদেন গোলজার হোসেন। যোগদানের পর তিনি অনিয়ম-দূর্নীতি শুরু করেন। পূজা, নির্বাচন কিংবা বিভিন্ন উৎসবের দিনে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া, মাসিক বিলে স্বাক্ষর করার কথা বলে আনসার সদস্যদের কাছ থেকে টাকা দাবী করেন এবং চাকরী থেকে বের করে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখান। উপায় না পেয়ে উপজেলার শতাধিক সদস্য বাধ্য হয়ে তাকে টাকা প্রদান করেন। গোলজার রহমানের অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে তাকে গত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলায় বদলী করা হয়। এরপর আনসার সদস্যদের কাছে নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ায় গোলজার রহমানের বিরুদ্ধে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সদস্যরা। এ ঘটনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তদন্ত টিম সরেজমিনে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পায় এবং গোলজার রহমানকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এদিকে শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গোলজার রহমানকে গঙ্গাচড়া বাজারে দেখতে পেয়ে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করেন। এ সময় অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে গোলজারকে ছেড়ে দেয় আনসার সদস্যরা।
নোহালী ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার সুমন মিয়া বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ দাবী করেন উপজেলা কর্মকর্তা গোলজার রহমান। আনসার সদস্যরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করা, মাসিক বিলে স্বাক্ষর না করা এবং গ্রুপের সদস্যদের নাম্বার পরিবর্তন করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে ৩টি গ্রুপের ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। এরপরেও আমাকে চাপ দেওয়া হয়।
আনসার সদস্য ইব্রাহিম মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কাদের হোসেনসহ অন্যরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আনসারের দায়িত্ব পালন করে আসলেও কোন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়নি। গোলজার রহমান গঙ্গাচড়ায় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ঘুষ ছাড়া তিনি কাউকে ডিউটি দেন না। এর প্রতিবাদ করলে চাকরী থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।
গঙ্গাচড়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন বলেন, গোলজার রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়াসহ আর্থিক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত হয়েছে এবং তিনি সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। তার কাছে আনসার সদস্যরা ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পায় বলে শুনেছি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। এছাড়া শনিবার গোলজার রহমানকে টাকার জন্য আনসার সদস্যরা আটক করেছিল শুনেছি। এ ব্যাপারে গোলজার রহমানের মোবাইল ফোনে (০১৩০৩০০৭৪৩৩) একাধিকবার ফোন করলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।