জেলা প্রতিনিধি, রংপুর (গঙ্গাচড়া):
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কলেজ শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের সাপমারি এলাকায় তিস্তায় ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে ভেসে উঠে এইচএসসি শিক্ষার্থী নাইস আহম্মেদের (১৯) মরদেহ। তিস্তায় নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার হলো।
প্রত্যক্ষদর্শী মোবাশ্বের জানায়, তিস্তা নদীর কিনারায় মরদেহ ভেসে থাকা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সংবাদ দেই এবং আমরা কয়েকজন নদী থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে আসি। পরে নিখোঁজদের পরিবার ও পুলিশকে সংবাদ দিলে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ মরদেহটি সনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে।
নাইস আহম্মেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। সে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় তার নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো। নাইস আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন বলেন, আমরা তিস্তায় একটি লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ভেসে উঠা লাশটিকে সনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ৬ সেপ্টেম্বর সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে নামে। তারা নদীতে গোসলে নামলে ৬ ছয় বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে ধরলে এক বন্ধু কেনো রকম সাতঁরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতে টানে তলিয়ে যেতে ধরে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন দ্রুত নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও দুইজন পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৩২ ঘন্টা পর তলিয়ে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে তিস্তায় ভেসে উঠে মুন্না আহমেদ (১৮) নামে এক পরীক্ষার্থীর মরদেহ আর ১৭ দিন পর ভেসে উঠলো নাইসের মরদেহ।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ