গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় শিক্ষার্থীকে (১৮) ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে ওই শিক্ষককে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল কাদের (৫৫) পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং পাইকান কুটিপাড়ার বাসিন্দা। গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক কিশোরীকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক কাদের কিশোরীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে তিনি কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন। গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, মামলার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল কাদের শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তিনি দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে ওই কিশোরীর সাথে দু’বছর আগে গোপনে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং এক পর্যায়ে তার অবৈধভাবে মেলামেশা করে। বিষয়টি কিশোরীর পরিবারের নজরে আসলে শিক্ষক আব্দুল কাদের বিয়ে করার শর্তে আইনি পদক্ষেপ থেকে রক্ষা পায় এবং কিশোরীর বয়স ১৬ বছরের কম হওয়ায় ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে এবং প্রতিশ্রুতি দেয় ১৮ বছর পূর্ণ হলে কাবিননামার মাধ্যমে আইনি স্বীকৃতি দিবে। বিয়ে করলেও শিক্ষক আব্দুল কাদেরের ১ম স্ত্রী ও সন্তান থাকায় নিজ বাড়িতে কখনও তাকে নিয়ে যায়নি। তিনি কিশোরীর বাড়িতে মাঝে মধ্যে যেত এবং মেলামেশা করত। কিছুদিন আগে কিশোরীর বয়স ১৮ বছর পার হলে সে শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে কাবিননামা বিয়ের চাপ দেয়। কিন্তু কাদের কাবিননামা করতে টালবাহানা করে। এলাকাবাসী আরো বলেন, আব্দুল কাদের একজন শিক্ষক হয়ে কিশোরীর দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে মেলামেশা ও বাল্যবিয়ে করা সবকিছুই আইন বিরোধী কাজ করেছে এখন আইনি স্বীকৃতি না দিয়ে টালবাহানা করা। এসব অপরাধের শাস্তি হওয়া দরকার। গ্রেপ্তার আগে আব্দুল কাদের জানান, ওই কিশোরীর সাথে মেলামেশা ও শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে সব সে করেছে এবং কিশোরীকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার জন্য কিশোরীর এনআইডি কার্ডে স্বামী হিসেবে আমার নাম ও আমার চাকুরির পেনশনে অংশীদার হিসেবে ১ম স্ত্রীর সাথে তার নাম দিয়েছি।
আরও পড়ুন
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন, নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন তিস্তাপাড়ের লক্ষাখিক মানুষের
রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত
সখীপুরে আধুনিক চাষে প্রশিক্ষণ ও ফলদ চারা বিতরণ