জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন দলটির নেত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা নারী নেত্রীরা এই জোটকে আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন দল ত্যাগ করেছেন, আর যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট নেওয়া দলকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এনসিপির শীর্ষ নেত্রীদের এক বৈঠকে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ছয়জন নারী নেতা, তারা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বিএনপির সঙ্গে জোট বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার পক্ষে জোর দিয়েছেন।
এনসিপির ৩০ নেতা, যার মধ্যে কিছু নারী নেত্রীও রয়েছেন, নাহিদ ইসলামের কাছে চিঠি দিয়ে এই জোটের প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাস, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকা, গণহত্যায় সহযোগিতা এবং স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড আমাদের দল ও গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
দলের কিছু নারী নেত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট হলে ভবিষ্যতে নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ আরও কঠিন হয়ে যাবে। গতকাল এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি ঘোষণা করেছেন।
রাজনীতিকরা বলছেন, এনসিপির নারীদের এই অবস্থান জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থান এবং নারী নেতৃত্বের বিষয়টি নতুনভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টায় এক বছরে ৩ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু
এনসিপিতে যোগ দিয়ে মুখপাত্র হলেন আসিফ, করবেন না নির্বাচন
আসুন দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলি: তারেক রহমান