২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পৈশাচিক দমন-পীড়ন, গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের সংবাদ প্রচার করায় চারটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
একই সঙ্গে আন্দোলনের আসল চিত্র মানুষের কাছ থেকে লুকাতে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল। শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন।
বাংলাভিশন জানায়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ৬টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পর পর ৩০ মিনিটের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাভিশনের সম্প্রচার।
একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, এনটিভি ও দেশ টিভির সম্প্রচারও। পরবর্তিতে ২২ জুলাই দুপুর ২টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পর পর শুধুমাত্র বাংলাভিশনের সম্প্রচার আবারও ৩০ মিনিটের জন্যে বন্ধ করে দেয় সরকার।
২০২৪- এর ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার শিকার হয় ছাত্র-জনতা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ছাত্র-জনতাকে দমাতে টিয়ারশেল, শর্টগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি।
রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের জবাবে ইটপাটকেল ছোড়ে আন্দোলনকারীরা। কোনোভাবেই পিছু হটেনি ছাত্র-জনতা। পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড উপেক্ষা করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাভিশন দাবি করেছে, ছাত্রদের লক্ষ্য করে র্যাব-পুলিশ ও বিজিবির গুলি ছোড়ে, সে দৃশ্য সরাসরি লাইভ সম্প্রাচর করে দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে বাংলাভিশন, এনটিভি, দেশটিভি ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় এই চারটি চ্যানেল।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
পল্লী বিদ্যুতে ‘গণছুটিতে’ থাকা কর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে না ফিরলে ব্যবস্থা
বেনাপোলে কাঁচামরিচের ট্রাকে পিস্তল-৯৩ রাউন্ড গুলি, দুই ভারতীয় গ্রেপ্তার
ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: ইসি আনোয়ারুল