February 3, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 2nd, 2025, 4:30 pm

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সড়ক অবরোধ, বিকেল ৪টা পর্যন্ত আলটিমেটাম

 

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও ও দুপুরে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন। এতে মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

অবরোধকারীরা তাঁদের দাবি মেনে নিতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি না দিলে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

বেলা আড়াইটার দিকে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখা আহতদের মধ্যে সোহেলী নামে এক নারী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

শ্যামলীতে শিশুমেলার সামনে পদচারী সেতুর কাছে কামরুল নামে এক ব্যক্তির গলায় রশি দেখা গেছে। তিনি বলেছেন, বিকেল ৪টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দিলে আত্মহত্যা করবেন। তাঁর গলায় ‘হয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, না হয় আত্মহত্যা!’ লেখা পোস্টার ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়।

দুপুরে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন আহত ব্যক্তিরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুমেলার সামনে মিরপুর সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আহত ব্যক্তিরা। এতে সড়কের সবদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

এর আগে সকালে রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে দেন আহত বেশ কয়েকজন। এখানে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানান।

সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নেন আহত ব্যক্তিরা। এসব এলাকা দিয়ে যানবাহন যেতে দেওয়া হয়নি। রোগী বা অ্যাম্বুলেন্স দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশে দেখা দেয় যানজট।

চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ করে গতকাল রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতর বিক্ষোভ দেখান জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহত এই ব্যক্তিরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতেও বিক্ষোভ চলে।

সড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কবির হোসেন। আন্দোলনের সময় তাঁর চোখে গুলি লেগেছিল। কবিরের বাড়ি মিরপুর–১১–তে। তিনি বলছিলেন, তাঁর চোখে সমস্যা আছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালেই ছিলেন। তবে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় গেলেই অসুখ বেড়ে যায়। হাসপাতালে এলে একটা ড্রপ ও ব্যথার ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সুচিকিৎসা দরকার।