December 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, July 6th, 2024, 3:34 pm

গাজার বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম এখন বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল

এপি, গাজা :

গাজার উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সামান্য খাবার-পানি নিয়েই তাদের আসতে হয়েছে।

স্টেডিয়ামের বসার জায়গায় এখন তাদের অস্থায়ী তাঁবু, যেখানে বেশ ধুলোবালির মধ্যে তাদের সময় পার করতে হচ্ছে। এদিকে শুকনো মাঠে তাদের কাপড় ঝুলতে দেখা গেছে। খেলোয়াড়রা যে ঢাকা স্থানে বসতেন, সেখানে একটি প্লাস্টিকের বড় পাত্রে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিশুকে গোসল করাতে দেখা যায় উম্মে বাশারকে।

তিনি বলেন, তাদেরকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। অতি সম্প্রতি গাজা সিটির শিজাইয়াহ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে।

উম্মে আরও বলেন, ‘আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার সামনে ট্যাংক। আমরা সঙ্গে করে কিছু নিয়ে আসতে পারিনি, তোষক নয়, বালিশও না, জামাকাপড় নয়, একটা জিনিসও না। এমনকি খাবারও নয়।’

তিনি আরও ৭০ জনের একটি দলের সঙ্গে শিজাইয়াহ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পালিয়ে আসেন। স্টেডিয়ামে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, তাদের ফিরে যাবার কোনো জায়গা নেই।

আশ্রয় নেওয়া হাজেম আবু থোরাইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। এবং আমাদের সমস্ত বাড়িঘর বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের চারপাশের সবারই একই অবস্থা।’

ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেললেও লাখ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে রয়ে গেছেন। তবে সম্প্রতি সেখানে ত্রাণ প্রবাহের উন্নতি হয়েছে এবং জাতিসংঘ এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছে যে তারা এখন উত্তরাঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

ইসরায়েল বলেছে যে তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং এটি সরানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে দোষারোপ করেছে।

তবুও বাসিন্দারা বলছেন, বঞ্চনা ও নিরাপত্তাহীনতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।

বাস্তুচ্যুত উম্মে আহমেদ বলেন, ‘কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। নিরাপত্তা আল্লাহর হাতে।’